সিলেটের কিশোর সামিউল আলম রাজনের অন্যতম হত্যাকারী কামরুলকে জেদ্দা থেকে আটক করা হয়েছে।
রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, হত্যাকারী কামরুল ইসলাম এ হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি আরবে পালিয়ে গিয়েছিল। সোমবার রাতে তাকে জেদ্দায় আটক করা হয়।
রাজন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী কামরুল ইসলাম ঘটনার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সৌদি আরব পালিয়ে যান। সোমবার ওসমানী বিমান বন্দর থানার ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে পরদিনই কামরুল সৌদির একটি ফ্লাইটে গোপনে সিলেট ত্যাগ করেন।
রাজন হত্যার আরেক আসামীকে ইসমাঈল হোসেন আবুলকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন লামাকাজি মিরেরগাঁও থেকে ইসমাঈলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক কামরুল শিশু রাজনকে বেধরক মারপিট করে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নর পিশাচ কামরুল রাজনের নাভিতে খুচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে গাড়িতে লাশ লুকানোর চেষ্টা চালায়।
গ্রেফতার প্রধান আসামি মুহিত আলমকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। এ মামলায় অপর এক আসামিকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার সকাল সাতটার দিকে আসামিরা চুরির অভিযোগে শিশু রাজনকে খুঁটিতে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। ময়নাতদন্তের পর রাজনের দেহে ৬৪টি আঘাত পাওয়া গেছে। সোমবর দুপুরে পুলিশের হাতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পৌঁছায়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আঘাতের কারণে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে শিশু রাজনের মৃত্যু হয়েছে।
Leave a Reply